IMG 20221119 233102 scaled

ঢাকা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন হলে ছাত্রসেনার সাবেক-বর্তমান দায়িত্বশীলদের প্রীতিসমাবেশ অনুষ্ঠিত

রাজনীতি
print news

*দেশ-জাতির উন্নতির জন্য নৈতিকতা সম্পন্ন আদর্শিক নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে হবে।

-আল্লামা এম এ মতিন।

*ছাত্রসেনার অহিংস ও উদার সুফিবাদি মতার্দশ সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে হবে।

– অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মতিন বলেছেন, বর্তমানে আমরা অবক্ষয়পীড়িত সমাজের বাসিন্দা। উগ্রজাতীয়তাবাদ, বোধ ও নৈতিকতার অবক্ষয়, ধর্মবিমুখতা, ধর্মনিরপেক্ষতা, উগ্রবাদ ও ভোগবাদী সমাজের পরিণতিই হলো অবক্ষয়। ফলে কিশোরগ্যাং, আধিপত্যবাদিতা, ইভটিজিং, ধর্ষণ, মাদকের মত বিষাক্ত ছোবলে ছাত্র ও যুবসমাজ বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে। দিন দিন এসব মহামারির মত বেড়েই চলেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দেশ-জাতির উন্নতির লক্ষ্যে নৈতিকতা সম্পন্ন আদর্শিক নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে হবে। ছাত্রসেনা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বিভ্রান্ত ছাত্রসমাজকে নৈতিক মূল্যবোধে জাগ্রত করতে। এজন্য আমাদের প্রয়োজন দক্ষ নেতৃত্ব। তিনি আরো বলেন, নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় সমাজের সচেতন সকল নাগরিককে এক হওয়ার আহ্বান ঘরে ঘরে পৌঁছানোর দায়িত্ব যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বকেই বহন করতে হবে। সমাজের অন্ধকারাচ্ছন্ন মানুষের নিকট সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের বাণী পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে তা বাধ্যতামূলকই। সপ্ত মূলনীতি ও পঞ্চ কর্মসূচির আলোকে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা ১৯৮০ সাল থেকে বর্তমান অবধি দেশ ও জাতির আদর্শিক নেতৃত্ব উপহার দিয়েছে।
একমাত্র সংগঠনেই রয়েছে কলঙ্কমুক্ত সুশৃঙ্খল ছাত্ররাজনীতির ইতিহাস। এ সোনালী ইতিহাসকে কেউ যেন নস্যাৎ করতে না পারে এ ব্যাপারে ছাত্রসেনার সর্বস্তরের সাবেক-বর্তমান নেতৃবৃন্দকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ‘মোমবাতি’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তাই সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী ফ্রন্টের সকল কর্মসূচি সফল করতে সেনাকর্মীদের ভূমিকা রাখতে হবে।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার ব্যবস্থাপনায় গত (১৯ নভেম্বর) শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রসেনার সাবেক-বর্তমান (১৯৮০-২০২২) নেতৃবৃন্দের প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মতিন উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা সাইফুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা স উ ম আব্দুস সামাদ। তিনি বলেন, অন্ধকার হচ্ছে আলোর অনুপস্থিতি। ছাত্রসেনা হচ্ছে আলোর প্রতিভূ। সূর্য উদিত হলে যেমন অন্ধকার দূরীভূত হয়, তেমনি ছাত্রসেনাকর্মীরা আদর্শিক আলোয় আলোকিত। এ আলো আদর্শের, ন্যায়, নীতি ও সত্যের। তা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। আমাদের রাষ্ট্রে ও সমাজে আদর্শবান ব্যক্তি অপ্রতুল। আমাদের ছাত্র ও যুবসমাজ বড়দের মাঝে খুব কমই আদর্শবান মানুষ খুজে পাচ্ছে না, যাদের থেকে তারা অনুপ্রেরণা পাবে, তারা অহরহ দেখছে রাজনীতির নামে মিথ্যাচার, সমাজ সেবার নামে সেচ্ছাচার, আদর্শের নামে প্রতারণা, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, শিক্ষাক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনা ছাত্রদেরকে বিপথগামী করার ক্ষেত্রে বহুলাংশে দায়ী। অসুস্থ ছাত্র রাজনীতি ও নামধারী সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ ছাত্ররা। আর তাই এখনি নিতে হবে সময়োপযুক্ত পদক্ষেপ, শিক্ষাঙ্গনকে করতে হবে শিক্ষার কারখানা। এজন্য তিনি সুন্নী মতাদর্শ ভিত্তিক সুফিবাদী উদার মতাদর্শ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বস্তরের ছাত্রদের ছাত্রসেনার পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও অনুষ্ঠান প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ নূরের রহমান রণি এর সঞ্চালনায় প্রীতি সমাবেশে বিশেষে অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীরে তরিক্বত আল্লামা, অধ্যাপক মাওলানা রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, অধ্যক্ষ আবু তৈয়ব চৌধুরী আশরাফী, এম সোলাইমান ফরিদ, আওলাদে রাসূল (দ.) শাহসূফি সৈয়দ মুহাম্মদ সহিদ উদ্দিন আহম্মেদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভান্ডারি, বাংলাদেশ সম্মালিত ইসলামী জোটের সভাপতি হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান, যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল করিম তালুকদার, সাংগঠনিক সচিব এড. ইসলাম উদ্দিন দুলাল, বিভাগীয় সাংগঠনিক সচিব এম এ মাবুদ, আঞ্জুমানে খোদ্দামুল মুসলেমিন ওমান কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মাওলানা মুহাম্মদ সাইফুদ্দীন,যুবসেনা কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মাহমুদ ভূইয়া মানিক। এছাড়াও সাবেক-বর্তমান নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাহমুদ মোস্তফা জিলানী, মুহাম্মদ আব্দুল হাকিম, সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, আবু নাসের মুসা, নুরুল হক চিশতি, মাসউদ হোসাইন, সৈয়দ মুহাম্মদ খোবাইব, ইমরান হোসেন তুষার, কাউছার আহমদ রুবেল, মুহাম্মদ নূর উদ্দিন। আরো বক্তব্য রাখেন, যুবসেনা ঢাকা মহানগর সভাপতি ডাঃ এস এম সরওয়ার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠান প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক খাজা সাইফুল হক আখন্দ ও ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল জাবের প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *