
এনামুল হক রাশেদী, বাশঁখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলা ভূমি অফিস, চলতি বছরে সারা দেশে সবছেয়ে আলোচিত ভূমি অফিস। সারাদেশে ভূমি অফিসের লাগামহীন দূর্নীতি আর অনিয়ম নিয়ে যখন সেবা গ্রহিতাদের মাঝে চরম ক্ষোভ আর অসন্তোষ বিরাজ করছিল, ঠিক এহেন পরিস্থিতিতে বাঁশখালী উপজেলা ভূমি অফিসে সহকারী কমিশনার(ভূমি) হিসাবে বর্তমান এসি ল্যান্ড খন্দকার মাহমুদুল হাছান যোগদান করার পর থেকে বাঁশখালী ভূমি অফিসকে দালাল মূক্ত ও হয়রানী মুক্ত করার ঘোষনা দিয়ে একের পর এক দালাল পাকড়াও শুরু করলে ৩/৪ মাসের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশের অধিক দালালকে গ্রেফতার করে মুচলেকা নিয়ে প্রাথমিক ভাবে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়ার পর দালালদের দৌরাত্ব একেবারে বন্ধ না হলেও অনেকাংশে কমে আসে। সহকারী কমিশনার(ভূমি) ভূমি অফিসে দালালদের দৌরাত্ব জিরো টল্যারেন্স ঘোষনা করে এরপর শুরু করেন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কারাদন্ডাদেশ প্রদান পদক্ষেপ। তারই ধারাবহিকতায় ২য় কারাদন্ডাদেশ প্রাপ্ত দালাল হলেন, দলিল লেখক পরিচয় দানকারী মোহাম্মদ ইমরান(২২)। ১৬ নভেম্বর’২২ ইং বুধবার বাঁশখালী উপজেলা ভূমি অফিসে দালালি করতে আসা উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের শাহ আলমের পুত্র দলিল লেখক পরিচয় দানকারী মোহাম্মদ ইমরান (২২) কে সন্দেহ হলে পাকড়াও করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মাহমুদুল হাসান। যথোপযুক্ত জেরা পুর্বক যাছাই বাছাই করে সেবা গ্রহিতার পক্ষে দালালী করতে আসা প্রমানিত হওয়ায় দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় তাকে তাৎক্ষনিক ভাবে ০৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে বাঁশখালী থানা পুলিশের হাতে তোলে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মাহমুদুল হাসানের কাঁছে জানতে চাইলে তিনি জানান, দন্ডপ্রাপ্ত দালাল ইমরানকে এর আগেও দুইবার জরিমানা করা হয়েছিল ও মুচলেকা নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সে সতর্ক ও সংশোধন না হয়ে পুনরায় সেবা গ্রহিতার সাথে চুক্তি করে উপজেলা ভূমি অফিসে দালালী করতে আসলে তাকে গ্রেফতার করে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহন পূর্বক ৭ দিনের কারাদন্ড প্রদান করে বাঁশখালী থানায় সোপর্দ করা হয়। জনস্বার্থে ও হয়রানিমুক্ত ভূমি সেবা নিশ্চিত করণের এই অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানান এসিল্যান্ড খোন্দকার মাহমুদুল হাসান। উল্লেখ্য বাঁশখালী ভূমি অফিসকে দালালমূক্ত ও হয়রানীমুক্ত ভূমি সেবা নিশ্চিত করতে বর্তমান এসিল্যান্ড খোন্দকার মাহমুদুল হাসানের আপোষহীন সিদ্ধান্তে সেবা গ্রহিতাদের পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষের মাঝে দারুন ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে তা শুধু নয়, একজন সৎ, পরিশ্রমী ও জনবান্ধব এসিল্যান্ড হিসাবে তিনি ইতিমধ্যে বেশ আলোচিত ও প্রশংসিত। ইতিমধ্যে তাঁর এ সততা, দক্ষতা, আপোষহীনতা ও কঠোর পরিশ্রম সরকারের ভূমি মন্ত্রনালয়ের দৃষ্ঠি আকর্ষনের মাধ্যমে সরকারী স্বিকৃতি অর্জনেও সক্ষম হয়েছে এসিল্যান্ড খোন্দকার মাহমুদুল হাসান।