
তারকায় ঠাসা আক্রমণভাগ নিয়েও গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে মাত্র তিনটি গোল পাওয়ায় দুর্ভাবনার কারণ আছে যথেষ্ঠ। তারওপর একের পর এক চোটের আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ব্রাজিল দল। নকআউট পর্ব শুরুর আগে দুই ফরোয়ার্ড ও তিন ডিফেন্ডার মাঠের বাইরে থাকায় দল নির্বাচনেই হিমশিম খেতে হচ্ছে কোচ তিতেকে।
সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় দিয়ে আসর শুরুর ম্যাচে অ্যাঙ্কেলে চোট পান দলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার ও অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার ইউভেন্তুসের দানিলো। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ের ম্যাচে নিতম্বে চোট পান দানিলোর ক্লাব সতীর্থ আলেক্স সান্দ্রো।
ওই দুই জয়ে শেষ ষোলোয় খেলা নিশ্চিত হয়ে যাওযায় ক্যামেরুনের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে শুরুর একাদশে ৯টি পরিবর্তন আনেন তিতে। প্রথম দুই ম্যাচে বদলি হিসেবে খেলা জেসুস এবার শুরুর একাদশে নামেন; কিন্তু ৬৪তম মিনিটে হাঁটুতে ব্যথা পেয়ে উঠে যান। তার ১০ মিনিট আগে তেলেসকেও তুলে নেওয়া হয়।
দলের পক্ষ থেকে শনিবার নিশ্চিত করা হয়েছে, চলতি বিশ্বকাপে আর খেলার কোনো সুযোগ নেই জেসুস ও তেলেসের।
কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ বাংলাদেশ সময় রাত একটায় শুরু হবে ম্যাচটি।
এই ম্যাচে দানিলোকে পাওয়ার আশায় আছে দল। তবে নিশ্চিত নয় কিছুই। আর গণমাধ্যমের খবর মতে, নেইমার ও সান্দ্রোকে নিয়ে এখনই তেমন আশা নেই।
একটা বিষয় বেশ পরিষ্কার যে, বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে রক্ষণভাগ সাজাতে সমস্যায় পড়তে যাচ্ছেন তিতে। আপাতত তার হাতে কেবল একজন বিশেষজ্ঞ ফুল-ব্যাক আছে।
শেষ পর্যন্ত দানিলো ও সান্দ্রো খেলতে না পারলে মার্কিনিয়োসকে লেফট-ব্যাক হিসেবে খেলাতে পারেন কোচ। আর ক্যামেরুনের বিপক্ষে দেশের সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় ও অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে খেলা রেকর্ড গড়া দানি আলভেস খেলতে পারেন নিজের পজিশন, রাইট-ব্যাকে।
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে দানিলোর অনুপস্থিতে রিয়াল মাদ্রিদ সেন্টার-ব্যাক এদের মিলিতাওকে ফুল-ব্যাক হিসেবে খেলান তিতে। এমন পরিকল্পনা আসছে ম্যাচেও যদি করেন তিনি, তাহলে বেঞ্চে কোনো ডিফেন্ডারই অবশিষ্ট থাকবে না ব্রাজিলের।