
চট্টগ্রাম আদালত পাড়ার পরিচিত মুখ অ্যাডভোকেট মিঠুন বিশ্বাস। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর উপকমিটির সদ্য সাবেক সদস্য এই তরুণ আইনজীবী লইয়ার্স ফর পিস এন্ড হিউম্যানিটি নামের একটি মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও তিনি সিআরবির হেরিটেজ রক্ষায় গড়ে ওঠা নাগরিক আন্দোলনে নাগরিক সমাজ,চট্টগ্রাম এর সদস্য হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে চট্টগ্রামে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের সাথেও যুক্ত ছিলেন তিনি।
সম্প্রতি তাঁর স্বপ্ন ও সফলতার গল্প শুনিয়েছেন আমাদের। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অভি পাল-
আইন পেশায় আসার গল্প শুনতে চাই-
মিঠুন বিশ্বাস :আইন পেশার প্রতি দুর্বলতা ছোটবেলা থেকেই। এটি একটি স্বাধীন পেশা। আমি স্বাধীনচেতা মানুষ।ছোটবেলা থেকে রাজনীতির প্রতিও আগ্রহ ছিল।সেকারণেই আইনজীবী হতে চেয়েছি।
আইন পেশায় আপনার উল্লেখযোগ্য স্মরণীয় ঘটনা জানতে চাই-
মিঠুন বিশ্বাস:- বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ও এর রচিয়তা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলাম।
আমার নোটিশের পর এটি নিয়ে দেশব্যাপী ইতিবাচক আলোড়ন সৃষ্টি হয়, নোবেল তাঁর দেয়া পোস্ট ডিলিট করতে বাধ্য হন।
আরেকটি স্মরণীয় ঘটনা এ-ই মুহুর্তে মনে পড়ছে; গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ঢাকায় এক সমাবেশে সনাতন ধর্ম, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ রামায়ণ, মহাভারত ও হিন্দু ধর্মের অন্যতম অবতার শ্রীরামকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন।তাঁর এসব মন্তব্য দেশ বিদেশের কোটি কোটি সনাতন ধর্মাবলম্বীর হৃদয়ে আঘাত দিয়েছিল। চট্টগ্রামে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত প্রদানের অভিযোগে মামলা হয়।আমি সেই মামলায় আমি বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলাম।এ-ই দুটো ঘটনা আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই।
নতুন বা তরুণ আইনজীবী যারা আইন পেশায় আসতে চায় তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলার আছে ?
মিঠুন বিশ্বাস:-আইন পেশা অত্যন্ত কঠিন একটি পেশা। এ-ই পেশায় টিকে থাকতে হলে সংগ্রাম করতে হয়।আমি নিজেও এখনো তরুণ হিসেবে সংগ্রাম করছি।আসলে এ-ই পেশায় সাফল্য পাওয়ার শর্টকাট কোন উপায় নেই।অধ্যাবসায় ও ধৈর্য্য ছাড়া এ-ই পেশায় সাফল্য পাওয়ার সুযোগ নেই।নতুনদের এই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, তবেই সাফল্য ধরা দেবে।
মানবাধিকার সংগঠন লইয়ার্স ফর পিস এন্ড হিউম্যানিটির প্রতিষ্ঠার কারণ কি?
মিঠুন বিশ্বাস:-ছোটবেলা থেকেই পত্রপত্রিকায় দেখতাম অনেক অসহায় মানুষ দারিদ্র্যের কারণে আইনী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে। তাদের জন্য কিছু করার তাড়না থেকেই সংগঠনটির জন্ম। মূলত আর্থিকভাবে অসচ্ছল দরিদ্র অসহায় মানুষদের বিনামূল্যে আইনি সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্য সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছি।